নাটোরের সিংড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হাসুয়ার কোপে আব্দুর রহমান (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের ছোট কালিকা পুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুইজনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার ছোট কালিকাপুর গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ছোট কালিকাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের করিম গংদের বিরোধ চলমান ছিলো।
এ বিরোধের জেরে গতকাল সন্ধায় দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া ও লাঠি সোটা নিয়ে ছোট কালিকাপুরের খাইরুল ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন নিয়ে হামলা চাঁলায় আব্দুর রহমান এর উপর। গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও সবিরন বেগম (৪০) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহিদুলের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আব্দুর রহমানের স্ত্রী রাবেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ইফতার করার জন্য ইফতারী সামনে নিয়ে বসে ছিলেন এমন সময় আয়নাল এর ছেলে খাইরুল, আতাহারের ছেলে করিম, ছলিম ও করিমের স্ত্রী সহ তাঁর ছেলে রনি, জনি এবং নাম না জানা বেশ কিছু লোকজন নিয়ে আমাদের ঘড়ের ভিতরে ঠুকে পরে আমার স্বামীর উপর হামলা করে এবং এলোপাথারী ভাবে হাসুয়া ও লাঠি দিয়ে মারধর করে জখম করে।
এমন সময় আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আমার দেবর শহিদুল ও ননদ সবিরন এগিয়ে আসলে তাঁদেরকেও মারধর করে। এবং ঘড়ের ভিতরে থাকা বাক্সের তালা ভেঙ্গে প্রায় আট লক্ষ টাকা নিয়ে পলিয়ে যায়।
আব্দুর রহমানের স্ত্রী রাবেদা বেগম আরো বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের এর কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই, এবং খাইরুল ও করিমের ফাঁসি চাই।